আফগানিস্তান বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রধান জানিয়েছেন, গত ১১ মাসে মোট ১,০৭০ মেগাওয়াট অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রকল্প ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে অথবা স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যার ৭০% বিনিয়োগ এসেছে বিদেশ থেকে।
টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুলবারি ওমর বলেন, অতীতে জ্বালানি খাতে অবকাঠামো প্রকল্পগুলো অবহেলিত হয়েছে। তবে কোম্পানি এখন বিদ্যুৎ খাতে আত্মনির্ভরতার দিকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব, গত ১১ মাসে আমরা ৬৯ বিলিয়ন আফগানি বিনিয়োগ করেছি। এর মধ্যে ৭০% অর্থ এসেছে বিদেশ থেকে। এটি আরেকটি সাফল্য— আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আফগান বাজারে আনতে পেরেছি, আর তারা কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনেই ৬৯ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছেন।’
ওমরের তথ্যমতে, বর্তমানে আফগানিস্তান ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিজস্বভাবে উৎপাদন করে এবং অতিরিক্ত ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তুর্কমেনিস্তান, ইরান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান থেকে আমদানি করে, যার জন্য প্রতিবছর ২৫০ থেকে ২৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।
তিনি আরও বলেন, পুরোপুরি জ্বালানি আত্মনির্ভর হতে আফগানিস্তানের ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন, আর শিল্প খাত প্রসারিত হলে এই চাহিদা ১০,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে।
তিনি যোগ করেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ মেগাওয়াট প্রয়োজন। একবার এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে আমরা ১০০% আত্মনির্ভর হতে পারব। তবে শিল্পাঞ্চল বাড়লে ও নতুন কারখানা গড়ে উঠলে এই প্রয়োজন ১০,০০০ মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ আমাদের এমনও কারখানা আছে, যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়েছে চারটি প্রদেশের বিদ্যুৎ একত্র করে।’
বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রধান জানান, বায়ু, পানি, গ্যাস, কয়লা ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার ওপর নির্ভর না করে, দেশীয় অর্থ ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কাবুলের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও সাবেক রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে ৪৫০ মিলিয়ন আফগানি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক— সবাইকে একই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি কিছু মন্ত্রীর বিদ্যুৎ সংযোগও বিল পরিশোধ না করায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সূত্র: টোলো নিউজ
অনুবাদ: হাসান আল মাহমুদ
হাআমা/