বরিশাল পাঠক ফোরামের আয়োজনে ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাইয়ের বর্ষপূর্তি: প্রজন্মের জাগরণের পুনর্পাঠ’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পশ্চিম বগুড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন অডিটোরিয়ামে এ আয়োজিত অনুষ্ঠিত হয়। পুরো আনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক আলোচনা, স্মৃতিচারণ ও বিশ্লেষণ ব্যক্তব্য প্রদান করা হয়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে সাধারণ মানুষ, ছাত্রসমাজ ও আলেম-ওলামা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। বরিশালও এ আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কেন্দ্র ছিল, যা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেমসমাজের অংশগ্রহণ ও অবদান নিয়ে প্রধান বক্তারা আলোচনা করেন:
সা’আদ উদ্দিন রুমি বলেন: ফ্যাসিস্ট রেজিমে দীর্ঘ একটা সময়ে যেই মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ও নিষ্পেষণের ভুক্তভোগী তারাই হলেন আলেমসমাজ। আলেমসামজের অংশগ্রহণেও জুলাইকে আমরা ‘জুলাই’ হিসেবে স্মরণের সাহস ও সমাজটা উপভোগ করছি।
আব্দুল কাইয়ুম মিঠু বলেন, ‘হাসিনা ছিলেন ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার দায়ীদের একজন। গুম-খুন, আইনের শাসন ভঙ্গ করে তিনি নাগরিক সমাজে তাণ্ডব চালিয়েছেন। তবে উৎখাতের পরও এই ধারা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।’
ইমরান হোসাইন নাঈম অভ্যুত্থানের অর্জন ও বিসর্জন তুলে ধরে বলেন, ‘জুলাই আমাদের দিয়েছে ত্যাগের শিক্ষা, আবার কিছু মূল্যবান অর্জনও। তবে হারানোর বেদনা আজও রয়ে গেছে।’
মুফতি মুঈনূল ইসলাম বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে মুসলিমদের আমলগত প্রত্যাশা ও দাওয়াতের কাজকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।’
বরিশাল পাঠক ফোরামের মুখপাত্র মাহমুদ তানভীর বলেন, ‘জুলাইকে চর্চা করতে হবে জুলুমের ফিরিস্তি মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য। জুলাইকে চর্চা করে মানুষকে বোঝাতে হবে—জুলুম চিরকাল স্থায়ী হবার নয়। এবং জুলাইকে হাত করেই আমাদেরকে এক মহাবিপ্লবের দিকে ধাবিত হতে হবে যে বিপ্লব ঘটবে ইসলামের আগমনের জন্য। যে বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে এক তাওহীদবাদী প্রজন্ম।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—হেরার আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. আয়্যুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হূদা, বরিশাল মুসলিম ইয়ুথের পক্ষ থেকে মাহদি হাসানসহ বরিশালের স্থানীয় আলেমসমাজ ও ছাত্র-জনতা।
এনআর/