কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে দোকান ভাড়া নিয়ে সেই দোকান দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি মৃণাল আচার্যের বিরুদ্ধে। উপজেলা বাজারের বাণিজ্যিক এলাকার স্বর্নপট্টিতে অবস্থিত দুটি দোকান দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে দোকানের মালিকপক্ষ ফিলিপ দে নিকেল জানান, তাদের অর্ধশত বছরের মালিকানাধীন দোকান ২০১৫ সালে চুক্তিমূলে ভাড়া নেন উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি মৃণাল আচার্য্য। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করলেও এরপর বিভিন্ন অজুহাতে আর ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেননি তিনি।
দোকান মালিক মৃদুল দে বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত ভাড়া দিলেও পরবর্তী সময়ে অসৎ উদ্দেশে ২০১৭-১৮ সালে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গোপনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন মৃণাল। এমনকি ২০১৯ সালে দোকান মালিক মৃদুল কান্তি দের নামে থাকা বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তন করে নিজের নামে আরেকটি মিটার সংযুক্ত করেন। একইসময় ভুয়া কাগজ করার বিষয়টিও প্রকাশ পায়।
স্থানীয় অজিত দে বলেন, এ নিয়ে বিচার বৈঠক হলে সালিশি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই দোকানের ভাড়া পরিশোধ ও আরেকটি দোকান ভাড়া দেয়ার শর্তে ২০২১ সালে নতুন করে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্যে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন মৃণাল আচার্য্য।
এ চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সাল পর্যন্ত ভাড়া আদায় করলেও পরবর্তী সময়ে তাও বন্ধ করে দেয়। পরে দোকান দুইটি নিজের দাবি করে ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি মারধর করেন দোকান মালিককে। ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ, আদালত, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদসহ বিভিন্ন দফতরে বিচার দিলে তারা কাগজপত্র যাচাই করে মৃদুল কান্তি দে গংয়ের পক্ষে রায় দেন।
ভুক্তভোগী গীতা রাণী দে বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা মৃণাল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দোকান দুটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করেননি। বরং মামলা-হামলা ও হুমকি ইত্যাদির মাধ্যমে হয়রানি করে আসছেন দোকান মালিকদের।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মৃণাল আচার্য্যকে মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এআইএল/