|| হাসান আল মাহমুদ ||
শাপলা চত্বরে শেখ হাসিানার ফাঁসি দেখতে চেয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বারিধারায় হেফাজতের হেফাজতের ঢাকা মহানগরীর আয়োজনে ইফতার মাহফিলে এমন দাবি করা হয়।
ইফতার মাহফিলে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সাাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হক বলেন, হেফাজতে ইসলামের ডাকে মহাসমাবেশে আসা আগন্তুক মুসল্লিদের উপর খুনি হাসিনার সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সে গণহত্যার বিচার আজ আদালতের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে। খুনি হাসিনাসহ নয়জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশে খুনি হাসিনাকে ধরে এনে শাপলা চত্বরে ফাঁসিকাষ্ঠে তাকে ঝুলন্ত দেখতে চাই। এ বিচার বাংলাদেশে কার্যকর করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতের সমাবেশে শেষ রাতে আলেমওলামা ও সাধারণ মুসল্লিরা ইবাদত ও তাহাজ্জুদরত ছিল। সে অবস্থায় খুনি হাসিনার সরকার ১ লক্ষ ৫৪ হাজার গুলি চালানো হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল থেকে শেখ হাসিনাসহ সেসময়ের হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে আমরা আংশিক খুশি হয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, যাদের ব্যাপারে আমরা অভিযোগ দিয়েছি, তাদেরকে অনতি বিলম্বে শাপলা চত্বরে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হোক।
হেফাজতের বিরুদ্ধে আনা মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের বিরুদ্ধে আনা মামলগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়া, পিলখানা, বি-বাবাড়িয়া ও জুলাই চব্বিশের আন্দোলনে চালানো হত্যাকান্ডের বিচারও চেয়েছেন হেফাজতের এই নেতা।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি কাজী ইব্রাহীম, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদ্যস সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।
এএ/