ইফতারে তরমুজ কেন রাখবেন? উপকারিতা ও সতর্কতা

by Nur Alam Khan

গ্রীষ্মকালে তরমুজের মতো রসালো এবং সুস্বাদু ফলের তুলনা খুব কমই হয়। তরমুজ শুধু খেতে সুস্বাদু নয়, শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে রোজার সময়, যখন শরীরের পানির চাহিদা বেশি থাকে, তরমুজ একটি আদর্শ ফল হতে পারে। তরমুজে ৯২% পানি থাকায় এটি শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে সাহায্য করে, তাই ইফতারের জন্য তরমুজ খাওয়া খুবই উপকারি। চলুন, ইফতারে তরমুজ কেন খাবেন, তার কিছু উপকারিতা দেখে নেওয়া যাক।

শরীরের পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক

বিজ্ঞাপন
banner

গ্রীষ্মের তীব্র গরমে রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা শরীরের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। তরমুজের মূল উপকারিতা হলো এর উচ্চ পরিমাণে পানি যা শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। তরমুজ খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, ফলে ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা কমে আসে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা

তরমুজ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। ফলে, ইফতারে তরমুজ খাওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

হজমে সাহায্য

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে, যা হজমের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। গরমের সময় ডিহাইড্রেশন এবং হজমের সমস্যা বেশ সাধারণ, কিন্তু তরমুজে থাকা জলীয় অংশ ও আঁশ সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়ক।

পেশির ব্যথা কমাতে সহায়ক

তরমুজে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড সিট্রুলাইন পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালির প্রসারণ ঘটিয়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, ফলে শরীরের ক্লান্তি ও ব্যথা দূর হতে সহায়তা করে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এটি কার্যকরী।

ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী

তরমুজে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তরমুজ নিয়মিত খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুলও থাকে মজবুত। গ্রীষ্মের সময় ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে এটি একটি ভালো উপায়।

তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা

যদিও তরমুজের উপকারিতা অনেক, তবে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থা রয়েছে যেখানে এটি খাওয়া সীমিত করা উচিত।

  • ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায় এটি দ্রুত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাদের জন্য তরমুজ খাওয়ার পরিমাণ কম রাখা উচিত।
  • কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা তরমুজে উচ্চ পরিমাণে পানি থাকায় এটি তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • তরমুজ খাওয়ার পরপরই পানি পান না করা ভালো, কারণ এতে হজম সমস্যা হতে পারে।

ইফতারে তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি পানির অভাব পূরণ করে, হার্ট ও হজমের সুরক্ষায় সহায়তা করে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে, যাদের ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। পরিমিত পরিমাণে তরমুজ খেলে শরীর সতেজ থাকবে এবং ইফতারের পর শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী অনুভব করবে।

এনএ/

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222