অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে শনিবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। সেই প্রতিবেদনের প্রস্তাবনায় নারী যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াসহ বিবাহবিচ্ছেদ ও ভরণপোষণে ধর্মীয় আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
যা নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ ঝেড়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
রাশেদ খানের মতে, নারী বিষয়ক কমিশন সার্বজনীন না করে সেকুলার শ্রেণির নারীদের দিয়ে গঠন করে একটা ক্যাচাল তৈরি করা হয়েছে। তার মতে, এটাই এই অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব; যা এই সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।
তবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যেই প্রস্তাবনায় দিক না কেন; এ ব্যাপারে রাশেদ খানের অবস্থান-কোন ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোন সংস্কার করা যাবে না।
রাশেদ খান তার পোস্টে লিখেন, ‘কিয়েক্টা অবস্থা! যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন! বাংলাদেশের কোন ধর্মের মানুষই এটা এলাও করবে না। নারী বিষয়ক কমিশন সার্বজনীন না করে সেকুলার শ্রেণির নারীদের দিয়ে এমন কমিশন গঠন করে একটা ক্যাচাল তৈরি করা হয়েছে!’
তিনি আরও লিখেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদে, ভরণপোষণে তারা ধর্মীয় আইনের বিরোধিতা পর্যন্ত করেছে। নারী পুরুষের সমতা তারা চায়। আবার তারা নারীর জন্য সংরক্ষিত আসনের পক্ষে (প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন, যেখানে শুধু নারীদের বিপরীতে নারী প্রতিযোগিতা করতে পারবে)।’
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি লিখেছেন, ‘এই সরকারের মনোভাব ও চিন্তা ফুটে উঠেছে এই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার মাধ্যমে! সংস্কারের নামে বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টাও কেউ কেউ করছে। আমার স্পষ্ট কথা, কোন ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোন সংস্কার করা যাবে না।’
এআইএল/