আমিরুল ইসলাম লুকমান >>
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়ার পর থেকে সুপারিশের কিছু ধারা নিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম উলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হচ্ছে।
সুপারিশ উল্লিখিত ধারাগুলো প্রকাশিত হওয়ার পরে দেশের ইসলামী রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে সুপারিশের কোরআন হাদিসবিরোধী ধারাগুলো বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।
আগামী ৩ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে।
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের নানা ত্রুটি, কোরআন হাদিসের সরাসরি বিরোধিতা, অনৈতিকতা, ভুল উদ্ধৃতি, তথ্যসূত্রের বিকৃতি, সামাজিক ও ধর্মীয় নৈরাজ্য, পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়ন, সমাজ ও পরিবার ভেঙ্গে পড়ার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে একটি গবেষণাপত্র প্রস্তুত করেছে ‘সেন্টার ফর এথিকাল রিসার্চ এন্ড থট’ (সিইআরটি)। গবেষণাপত্রটি প্রস্তুত করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ১০০ পৃষ্ঠার উক্ত গবেষণাপত্রটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন গবেষক আলেমদের একটি দল।
কমিশন জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে উক্ত গবেষণাপত্রের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করবেন। সমাজে অশান্তি তৈরি হয় এমন কোনো ধারা তারা পাশ করবেন না।
জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার সহকারী প্রধান মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুমের নেতৃত্বে উক্ত দলে প্রখ্যাত আলোচক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার সাইনবোর্ডের পরিচালক মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি ও ড. সারোয়ার হুসাইন উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণাপত্রটি প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছেন মুফতি মঞ্জুরুল হাসান চৌধুরি, মুফতি ইলিয়াস হুসাইন, মুফতি লুকমান হাসান, মুফতি সাজ্জাদুর রহমান, মাওলানা আহমদ জুহাইরসহ বেশ কয়েকজন গবেষক আলেম।
এআইএল/