আব্দুল্লাহ আল ফারুক >>
পরাশক্তি আমেরিকার বিরুদ্ধে তালেবানদের যুদ্ধ ছিল অসম যুদ্ধ। একদিকে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুপার পাওয়ার, আর অন্যদিকে ঢাল-তলোয়ারহীন গ্রাম্য যোদ্ধা। এরপরও তালেবানরা হাল ছাড়েনি। তারা প্রযুক্তি আর সামরিক উপকরণের স্বল্পতার দোহাই দিয়ে নতি স্বীকার করেননি; বরং দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধ করে আমেরিকার মুখ থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেই ঘরে ফিরেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তির দেশ ইসরাইল। তাদের বিপরীতে গাজার হামাস অত্যন্ত দুর্বল। এখানেও সেই অসম যুদ্ধ। কিন্তু পুরো পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখছে, প্রবল পরাক্রান্ত শত্রুর বিরুদ্ধে কীভাবে পরম নির্ভয়ে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। হাজার প্রাণ অকাতরে বিলিয়েও তাদের যুদ্ধস্পৃহায় কোনোভাবেই চিড় ধরানো যায়নি।
অথচ দেখুন, নিজেদের চেয়ে সামরিকভাবে দুর্বল দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত মাত্র ৮৭ ঘণ্টা যুদ্ধ করেই আত্মসমর্পণ করেছে। এতো হুংকার, এতো হৈ চৈ, এতো দামামা- মাত্র পাঁচ দিনেই সব ধুয়ে মুছে একাকার। বীর পাকিস্তান ভারতের সিঁদুর মুছে বিধবা বানিয়ে উদোম ছেড়ে দিয়েছে।
ভারত ৮৭ ঘণ্টাও ময়দানে টিকতে পারেনি। অথচ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা ৮৭ দিন নয়, ৮৭ মাস নয়, সেই ১৯৪৮ সাল থেকে ৭৭ বছর ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
কুফুরি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা সবাই শেষ জমানার দুর্বল মুসলমান। ঈমানের সাথে যাদের আমলের ঢের তফাত। তারপরও তারা কুফরি শক্তির ওপর কী চমৎকারভাবে দাপট দেখাচ্ছে!
হাল জমানার এই তিনটি উদাহরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় কোরআনের সেই বিখ্যাত আয়াত, ‘আর নিরাশ হয়ো না। দুঃখ করো না। বিজয়ী তোমরাই হবে, যদি ঈমানদার হও।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৯)
এআইএল/