বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার উদ্যোগে এক বিজয় র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এ কর্মসূচির সূচনা হয়। সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশীদ, এবং পরিচালনায় ছিলেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের রিকশা মার্কার মনোনীত প্রার্থী আল-আমিন রাকিব।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের রিকশা মার্কার প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আবু সাঈদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শাব্বির আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বাছির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মাওলানা হাশমত আলী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ফতুল্লা থানা দক্ষিণের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক, সদর থানার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুব মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহান খান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসন ও ফ্যাসিস্ট নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে আমরা আবারও স্বাধীনতা লাভ করেছি। এই অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে না পারলে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। অবিলম্বে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”
হাফেজ মাওলানা আবু সাঈদ বলেন, ‘লেডি ফেরাউন হাসিনা বলেছিল, ‘হাসিনা পালায় না’। কিন্তু তারা আজ নিরীহ ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়ে প্রভু মোদীর দেশে চোরের মতো পালিয়েছে। তাদের এই ভূমিতে রাজনীতি করার অধিকার নেই।”
আল-আমিন রাকিব বলেন, “এই স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে এবং দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে ইসলামি শাসনব্যবস্থা খেলাফত প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ, কালো টাকা ও পেশিশক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সভাপতি জনাব নূর আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রবিউল ইসলাম, মনির হোসেন, বায়তুলমাল সম্পাদক হাফেজ মামুনুর রশীদ, অফিস সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, সহ-অফিস সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন রফিক, নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত হোসেন, আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইবরাহিম খলিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, যুব মজলিস সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদর শাখার সভাপতি হাজী লিয়াকত হোসেন, মনারুল ইসলাম সহ মহানগর ও থানার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
সমাবেশ শেষে একটি বিজয় র্যালি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে গ্রীণলেজ ব্যাংক মোড় ঘুরে আবার শহীদ মিনারে ফিরে আসে। সেখানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
হাআমা/