তুরস্কের কোনিয়া শহরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ১১ জন আমেরিকান নাগরিক ইসলাম গ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানটি ছিল ‘কোনিয়ায় ইসলামের চেতনা অনুভব করুন’ শীর্ষক এই শিরোনামে। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করে তুরস্কের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব ফরেন রিলেশনস এবং এতে সহযোগিতা করে কোনিয়া মেট্রোপলিটন মিউনিসিপ্যালিটি।
ইসলামের সর্বজনীন বার্তা ও শান্তির আহ্বান বিশ্ববাসীর হৃদয়ে যে গভীর প্রভাব ফেলছে, এই ঘটনা তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এর আগে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ইসলাম গ্রহণকারী ১১ জন আমেরিকানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আলী এরবাশ।
এ সময় তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের নবী মোহাম্মদ (সা.)-এর বাণী থেকে শিখি— যে আত্মীয়তার বন্ধন ও ভ্রাতৃত্বের চেয়ে ঈমানের বন্ধন ও ভ্রাতৃত্বই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সবাই চিরুনির দাঁতের মতো একে অপরের কাছাকাছি।’
তার এ বক্তব্য উপস্থিত সবাইকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
এ সময় তিনি আনাতোলিয়ায় ইসলামের ইতিহাসের গভীরতা স্মরণ করে বলেন, ‘প্রারম্ভিক যুগ থেকেই ইসলাম এই ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়েছে এবং গত এক হাজার ৪০০ বছর ধরে এ দেশে নামাজের জন্য আজান ধ্বনিত হচ্ছে।’
তিনি জোর দিয়ে আরো বলেন, ‘ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম।’ তিনি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন— ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম, আমার অনুগ্রহ তোমাদের ওপর সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নওমুসলিমদের আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বিশ্বে ইসলাম আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরো বেশি প্রয়োজনীয়, কারণ এটি একটি সর্বজনীন ধর্ম এবং কিয়ামত পর্যন্ত মানবতার এ ধর্মের প্রয়োজন থাকবে।’
সভা শেষে ড. এরবাশ নওমুসলিম আমেরিকানদের সঙ্গে স্মারক ছবি তোলেন। অতঃপর তারা কোনিয়ায় এক সপ্তাহব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ইসলামের মূল বিশ্বাস, ইবাদত ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করছেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
এআইএল/