হাসপাতাল 

by Kausar Labib

২০১৫। আইসিসি ওয়ান-ডে বিশ্বকাপ চলছে। মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল বেশ ভালোই পারফরমেন্স করছে এবার। ইতোমধ্যে টাইগার বাহিনীর সেমি ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার একটা সম্ভাব্য আশাও তৈরি হয়ে গেছে জনমনে। চারিদিকে ক্রিকেটীয় উন্মাদনা।

‘মার ছক্কা হই হই, বল গড়াইয়া গেল কই…’

বিজ্ঞাপন
banner

সবাই সেই উন্মাদনায় আচ্ছন্ন; আমি আচ্ছন্ন দাঁতের ব্যথায়।

বাম পাশের তিন নম্বর মাড়ির দাঁতটি পোকায় খেয়েছে আমার। এর আগে একবার মফস্বলের ডেন্টিস্ট দিয়ে সস্তা ফিলিং করিয়েছিলাম। চুনের মতো সাদা কী এক পদার্থ দিয়ে গর্ত ভরাট করে দিয়েছিল। টেকসই হয়নি। সরকারী নির্মাণ প্রকল্পের মতো কদিন বাদেই পলেস্তারা খসে পড়েছিল। ব্যথা প্রশমিত হয়ে যাওয়ায় আর গা করিনি। বছর দেড়েক বাদে পুরোনো সেই যন্ত্রণাটাই আবার চাগড়ে উঠেছে।

ততদিনে আমি মফস্বলের মাদরাসা ছেড়ে ঢাকায় এসে ভর্তি হয়েছি। দাঁতের ব্যথা যখন হিমালয় পর্বত জয় করল, তখন আর তাকে অবহেলা করা গেল না। এক বৃহস্পতিবার হুজুরের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে মিরপুর-১৪ নম্বরে অবস্থিত সরকারি ডেন্টাল হাসপাতালে গেলাম। একাই যেতে হলো। আব্বু-আম্মু থাকেন মাদারীপুরে। সাথে যাওয়ার মতো আর কে আছে? নার্ভাসনেস কাজ করছিল কিছুটা। হাসপাতাল, থানা-হাজত, অফিস-আদালত─ এসব স্থানে গেলে অনভ্যস্ততার দরুন আড়ষ্টতা ভর করে। বয়সই বা কত তখন! সবেমাত্র নাকের নিচে কচি গোঁফ আর থুতনি জুড়ে জালি দাড়ির আবির্ভাব।

জড়সড়ো পায়ে হাসপাতালের প্রধান ফটক পার হলাম। গেট বরাবর সটান দাঁড়িয়ে আছে লাল ইটের বহুতল ভবন। যেন ছড়ি হাতে দণ্ডায়মান ইংরেজ আমলের রাশভারী জমিদার। লাল ভবনটা মূলত কলেজ। এর পিছনের বিল্ডিংটা হাসপাতাল। প্রহরীর নির্দেশনা মেনে আমি সেদিকে পা বাড়ালাম।

নিয়মানুযায়ী প্রথমে দাঁতের এক্সরে করাতে হবে। সিরিয়াল দিয়ে এক্সরে করালাম। সকাল হওয়ায় তেমন একটা ভিড় নেই। ওয়েটিং রুমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই রিপোর্ট চলে আসল। খামটা হাতে নিয়ে বের হয়ে আসলাম। হাসপাতালের লবিতে দেখলাম, মায়াবী চেহারার উঠতি বয়সি একটি মেয়ে তার বাবার হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে। কবি নির্মলেন্দুর ভাষায়, এ বয়সি মেয়েদের মাঝে সৌন্দর্যের সুষম বিকাশ ঘটে, মায়া মিশ্রিত নিষ্পাপ প্রতিচ্ছবি খেলা করে কান্তিময় গোলাপি অবয়বে।

খুব সম্ভবত মেয়েটির দাঁত তোলা হয়েছে অথবা সেও ভুগছে আমার মতো দন্ত যন্ত্রণায়। গালের একপাশ ফুলে আছে তার, ডান হাতের তালুটা আলতো করে চেপে ধরেছে সেখানে। কাজল চোখের তারা দুটো চিকচিক করছে, যেন এখনই ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদে ফেলবে। আহ্লাদী বাচ্চারা অভিমানের কান্না চেপে রাখলে যেই বিশুদ্ধ লাবণ্য ঠিকরে বের হয়ে আসে, এই মুহূর্তে হাসপাতালের করিডরে বাবার হাত ধরে হাঁটা তন্বী মেয়েটির দীপ্তি তেমনই। দাঁতের ব্যথায় মেয়েটার চোখে-মুখে এক ধরনের কমনীয় অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। ভীত হরিণীর ন্যায় সেই লালিত্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বাঙ্গে। পুরো ব্যাপারটা চলমান ছবির মতো। ভালো কোনো আঁকিয়ে থাকলে নিশ্চয়ই ক্যানভাসে তুলে রাখত।

হঠাৎ একটা ব্যস্তসমস্ত তোড়জোড় লক্ষ করলাম। পিছন ফিরে দেখি, চাকাওয়ালা বেডে শুইয়ে একজন অশীতিপর বৃদ্ধ লোককে তার আত্মীয়রা লিফটের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। বয়সের কষাঘাতে লোকটার চোয়াল ভেঙে গেছে, সংকুচিত চামড়া তীর্যকভাবে ঢুকে গেছে গালের ভেতর। হা হয়ে আছে মুখ। বৃদ্ধের দুমড়ে যাওয়া কুঁচকানো শরীর ওই হাটুকু দিয়েই জীবনের জানান দিচ্ছে। মানুষ শুধু বুড়িয়ে যায় না, ফুরিয়েও যায়।

লিফটের আশা ছেড়ে সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে গেলাম আমি। হলওয়ে ধরে বিশ কদম হাঁটতেই পৌঁছে গেলাম নির্দিষ্ট স্থানে। দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলাম। বেলি ফুলের সুমিষ্ট সৌরভ নাকে এসে বাড়ি খেল। আতরের খুশবু। একজন মুরব্বি গোছের লোক আয়েশ করে সুইভেল চেয়ারে বসে আছেন। পরনে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় কিস্তি টুপি, মুখে মেহেদিরাঙা লাল দাড়ি, চোখে সোনালি ফ্রেমের ভারী চশমা─ অভিজাত অবয়ব।

সৌম্যদর্শন মানুষটি যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখালেন। সেই সাথে মৃদুমন্দ তিরস্কারও করলেন অযত্নে অবহেলায় দাঁতের এই হাল করার জন্য। রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দাঁত তুলে ফেলার পরামর্শ দিলেন তিনি। পেন-হোল্ডার থেকে কলম তুলে নিয়ে ঘচঘচ করে কিছু একটা লিখলেন। লিখিত কাগজটি দিয়ে তিন তলার ০৭ নম্বর রুমে পাঠালেন আমাকে।

এই রুমটা অন্যগুলোর তুলনায় বেশ বড়। পাশাপাশি দূরত্বে অনেকগুলো কলাপাতা রঙের বেড পাতা। এপ্রোন পরিহিত শিক্ষানবিশ ডেন্টিস্টরা আশপাশে ঘুরঘুর করছে।

দরজা দিয়ে ঢুকতেই হাতের বামে সস্তার চেয়ার-টেবিল চোখে পড়ল। সেখানে গুমরা মুখে বসে আছে একজন। চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, সে এই জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এভাবে বসে বসে সারাদিন ফিনাইলের গন্ধ শুঁকতে সম্ভবত তার ভালো লাগে না। সে হয়তো দুরন্ত কোনো জীবন চেয়েছিল─ যেখানে টানটান রোমাঞ্চ থাকবে, ঘোড়ার মতো গতি থাকবে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে সে তা পায়নি। সে পেয়েছে, যা সে চায়নি। ফলে পেটের আন্দোলন থামাতে এই একঘেয়েমি, অপছন্দনীয় কাজটাই নয়টা-পাঁচটা করে যেতে হচ্ছে তাকে।

মানুষের জীবন বড় অদ্ভুত! আমরা অধিকাংশই অন্য কারও জীবন নিয়ে বাঁচি। এক্সচেঞ্জের কোনো সুযোগ নেই।

টেবিলের উপর একটা রেজিস্ট্রি খাতা, খাতার উপর পাঁচ টাকা দামের মেটাডোর পেন। ডাক্তারের দেওয়া কাগজটি লোকটাকে দেখালাম, উনি কিছু একটা টুকে রেখে আঙুলের ইশারায় আমাকে একটা শূন্য বেড দেখিয়ে দিলেন।

দ্বিধান্বিত পায়ে আমি সেই বেডের দিকে এগিয়ে গেলাম। কোনো কিছু না ভেবে শরীর টানটান করে শুয়ে পড়লাম বিছানার উপর। নিজেকে কেমন বোকা বোকা লাগছে। ইতিউতি তাকাতাকি করছিলাম, ডান দিকে চোখ পড়তেই সার্জিক্যাল মাস্কে মুখ ঢাকা এক আপুর সাথে দৃষ্টি বিনিময় হলো। তিনি তাকিয়ে আছেন। অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। সমুদ্রসম সংকোচে সাথে সাথে ঘাড় ঘুরিয়ে নিলাম আমি।

উপর্যুপরি নাজুক অবস্থা থেকে আমাকে উদ্ধার করলেন রিমলেস চশমার সিরিয়াস টাইপ চেহারার এক ভাইয়া। যত্ন করে দাঁতটা তুলে দিলেন আমার।

যতটা সহজে বললাম, ততটা সহজে আসলে মাড়ির দাঁত উপড়ানো যায় না। দাঁত তোলার পূর্বে চোয়ালের মাংসপ্রাচীরে অবশকরণ ইনজেকশন পুশ করা হলো, যাতে বেশি ব্যথা না পাই। ইতোপূর্বে এমন ভয়ালদর্শন, দানব আকৃতির সুঁই দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়নি। বস্তুটি দেখার পর শরীরে কাটা দিয়ে উঠল আমার।

ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গালের বামপাশ অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়ল। শুধু এতটুকু বুঝতে পারলাম যে, জায়গাটা বেশ ভার ভার লাগছে।  অনেক্ষকণ মুখ ভরতি পানি আটকে রাখলে যেমন বোধ হয়, তেমন।

শিক্ষানবিশ ডেন্টিস্টকে ভালোরকম কসরত করতে হলো। সাঁড়াশি দিয়ে অনেক টানা-হ্যাঁচড়া আর জোর-জবরদস্তির পর তিনি দাঁত উঠাতে সক্ষম হলেন। সাথে সাথে গলগল করে রক্ত বের হয়ে আসল। বালতির মতো দেখতে স্টিলের একটা পাত্র দেওয়া হলো, মাথা তুলে সেটায় একগাল রক্ত ফেললাম। কয়েক সেকেন্ড পর আবারও মুখ ভরে উঠলো তাজা রক্তে।

যেখান থেকে দাঁত তোলা হয়েছে, মনে হচ্ছে সেখানে গভীর একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে─ যেন মহাকাশ থেকে কোনো ক্ষুদ্র উল্কাপিণ্ড সজোরে আছড়ে পড়েছে মুখগহ্বরে। এক গাদা তুলো গুঁজে দেওয়া হলো ফাঁকা স্থানে। তুলা যাতে উঠে না আসে সেজন্য জিহ্বা দিয়ে চেপে রাখতে বলা হলো। বিদঘুটে ব্যাপার।

যিনি এতক্ষণ রীতিমতো সংগ্রাম করে বিনা পয়সায় আমার দাঁতটি তুলে দিলেন, ইশারায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি।

গালের বাম অংশটা পূর্বের তুলনায় আরও ভারী অনুভূত হচ্ছে। মনে হচ্ছে জায়গাটা ফুলে একেবারে টইটম্বুর হয়ে আছে। জিহ্বা দিয়ে তুলা চেপে রাখায় কথাও বলতে পারছি না আমি। যা কিছু সব ইশারায় বলতে হচ্ছে। আমাদের বাড়ির পাশে একজন বোবা লোক আছেন, যিনি অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে মনের ভাব প্রকাশ করেন। মানুষও কীভাবে যেন তার সব কথা বুঝে যায়। দাঁত উঠানোর পর আমার অবস্থা অনেকটা সেরকম।

বাম হাতে গাল চেপে ধরে আমি যন্ত্রচালিতের ন্যায় দরজার পাশে বসে থাকা লোকটির নিকট গেলাম। আগের মতোই মুখ ভার করে বসে আছে সে। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উনি আমাকে একটা প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন। কাগজটা নিয়ে কোথায় যেতে হবে, হাত এবং মুখের ইশারায় তাও বাতলে দিলেন।

সিঁড়ি বেয়ে চার তলায় চলে গেলাম। দরজার উপরে সাঁটা নম্বরপ্লেট দেখে দেখে পুব সাইডের সর্বশেষ কামরার সামনে গিয়ে উপস্থিত হলাম আমি। হ্যাঁ, এই রুমের কথাই বলেছিল লোকটি। পুরোনো দিনের দো পাট্টা ডিজাইনের দরজাটি খোলাই ছিল। ঢুকে গেলাম ভেতরে। ঘিয়ে কালারের সুতি শাড়ি পরিহিতা একজন মধ্যবয়সী মহিলা বসে আছেন চেয়ারে। নীরস খরখরে চেহারা। গায়ের রং খইয়া গোখরার মতো ধূসর হওয়ায় সেই রুক্ষতা যেন আরও প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। শীতের দিন ত্বক শুষ্ক হলে গাঢ় শ্যামলা মানুষকে যেমন কর্কশ দেখায়, ঠিক তেমন। যেন আঁচড় কাটলেই শরীর ফুঁড়ে খড়ি উঠবে।

সিঁথিতে সিঁদুর থাকায় বুঝতে অসুবিধা হলো না যে আমার সামনে উপবিষ্ট মহিলাটি সনাতনধর্মী। ওনার চেহারা তেমন মায়াবী না হওয়ায় আমি একটু শঙ্কা বোধ করছিলাম। ফ্রিতে সরকারী ঔষুধ নিতে এসেছি, না জানি কটু কিছু বলেন কিনা। ইসলামী লেবাসধারীদের উপর অনেকেরই অকারণ ক্ষোভ থাকে। সুযোগ পেলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কেউ কেউ সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কিছুটা উগরে দেন।

টেলিফোনে কথা বলছিলেন বিধায় এতক্ষণ উনি আমাকে খেয়াল করেননি। কথা শেষ হতে রিসিভার রেখে এক পলক আমাকে দেখলেন। যেন সাপের মতো শীতল চাহনি হেনে জানতে চাইছেন, ‘কী চাই?’

মুখে আমার তুলো গোঁজা। বাম হাত দিয়ে চেপে ধরেছি গাল। এরই মধ্যে অবশকরণ ইনজেকশনের অ্যাকশন ছাড়তে শুরু করেছে। ব্যথা বাড়ছে ধীরে ধীরে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ভারী হয়ে উঠছে চোয়াল। কথা বলার সামর্থ্যটুকুও নেই। দুঃখী দুঃখী চেহারায় কোনোমতে আমি প্রেসক্রিপশনটা এগিয়ে দিলাম তার দিকে।

‘তোমার কী হয়েছে, বাবা?’

হঠাৎ এমন সম্বোধনে আমি হকচকিয়ে গেলাম। ‘কে! কে বলল এভাবে?’

কয়েক লহমা বাদে সম্বিত ফিরে পেলাম আমি। যাকে এতক্ষণ কঠোর ভেবে কুণ্ঠিত হয়ে ছিলাম, তার কণ্ঠ থেকে কী মমতাভরা আওয়াজটাই না বের হয়ে আসল!

সেদিন তার নিখাদ স্নেহমাখা কণ্ঠে ‘বাবা’ ডাক শুনে আমার সমস্ত বেদনা মুহূর্তেই উবে গিয়েছিল। চোখের কোটরে উছলে উঠেছিল দু ফোঁটা অশ্রু। সে অশ্রু কীসের, আমি জানি না। কেন সেদিন এমন হয়েছিল, তাও জানি না। কী ক্ষমতা ছিল ঐটুকু কথায়, সেটাও বলতে পারব না।

এই অসুস্থ অবস্থায় আমার  মা আমার পাশে নেই। একাই এসেছিলাম হাসপাতালে, চিকিৎসা শেষে ফিরে যাওয়ার সময়টিও হয়ে এসেছিল। ঠিক এমন সময়, এমন একটি অপ্রত্যাশিত মায়াময় কণ্ঠ আমাকে কত আপন করে নিল!

সেদিন বুঝেছিলাম, মায়া-স্নেহ-মমতা─ এসব জাত-পাত-ধর্মের অনেক ঊর্ধ্বে। আমি মাদরাসা পড়ুয়া মুসলমানের ছেলে─ গায়ে ঢোলাঢালা পাঞ্জাবি, মাথায় পাঁচকলি টুপি আর তিনি শাঁখা-সিঁদুর পরিহিতা হিন্দু মহিলা। পোশাকে-আশাকে দুজনেই বহন করছি সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ধর্মের নিদর্শন। আদর্শের যোজন-যোজন ফারাক! অথচ এত এত ব্যবধানকে পিছনে ফেলে, মাতৃস্নেহে আবৃত এক টুকরো মায়াময় সম্ভাষণে মুহূর্তেই তিনি হয়ে গেলেন আমার মা।

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222