‘আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিলো আমি দিল্লির আধিপত্যবাদকে ‘না’ বলেছিলাম। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমার অবস্থান ছিল সর্বদা বাংলাদেশের পক্ষে। দিল্লির আধিপত্যবাদের বিপক্ষে।’
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নেত্রকোণার ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী সরকার চেয়েছিল আমাকে মিথ্যা মামলায় দুনিয়া থেকে বিদায় করতে। কিন্তু ২৪ এর ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের পর আমি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছি। যদি প্রয়োজন হয়, আমি আবারও যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করবো, কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না ইনশাআল্লাহ।
সাবেক এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার ওপর শত অত্যাচার হলেও আমি মাথা নত করিনি, আমি আপোস করিনি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও আমি সত্য কথা বলবো। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি আমার জীবন বাজি রাখতে রাজি। এদেশ আমাদের, এদেশের মালিক জনগণ। তাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাবর বলেন, আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত। দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে কাটিয়ে আমি আবার আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া এবং সমর্থন আমাকে এই দীর্ঘ পথ চলতে শক্তি যুগিয়েছে। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগ সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে, ফাঁসির দণ্ড দিয়ে, অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে আমাকে দমিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি আপস করিনি, মাথানত করিনি। আমি সত্যের পথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। তারা চেয়েছিল আমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে, কিন্তু আল্লাহর রহমত ও আপনাদের ভালোবাসা আজ আবার আমাকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এক গভীর সংকটের মুখ থেকে ফিরে এসেছে। দিল্লির দাসত্ব আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সার্বভৌমত্বকে পদদলিত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলার জনগণ আধিপত্যবাদ মেনে নেয়নি। আমরা কোনো পরাশক্তির গোলাম নই। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে জনগণ হবে সর্বক্ষমতার উৎস, যেখানে জাতীয় স্বার্থই হবে সবার আগে।
এনএ/