রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র ও মাহাত্মপূর্ণ সময়। এ মাসে রোজা পালন করা ফরজ, যা মুসলমানদের আল্লাহর নৈকট্য ও তাকওয়া লাভের অন্যতম মাধ্যম। রোজাদারের ইফতার ও সেহরি সময়ের বিশেষ দোয়াগুলো তাদের আত্মিক উন্নতি এবং আল্লাহর রহমত অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইফতারের আগে ও পরে পড়া দোয়াগুলোর মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদে বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।’
ইফতারের আগে যে দোয়া পড়তে হয়
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।’
বাংলা অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)
ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হবে
يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ
উচ্চারণ: ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলি। অর্থ: হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)
ইফতারের পর যে দোয়া পড়তে হয়
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণ: ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
বাংলা অর্থ: ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
এনএ/