পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে পানির অভাব এবং ইলেকট্রোলাইটের অসমতা সৃষ্টি হতে পারে, যা শরীরের কার্যক্ষমতা প্রভাবিত করে। তাই ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত উপযুক্ত পানীয় গ্রহণে শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব। এখানে রোজায় পানিশূন্যতা রোধে উপকারী পানীয় এবং তাদের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ফলমূলের শরবত
আম, তরমুজ, পেঁপে, জলপাই, আনারস, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি ফলের শরবত পানে শরীর আর্দ্র থাকে এবং শক্তি বজায় থাকে।
ইসবগুল ও তোকমা পানীয়
হজম ও ডিটক্সে সহায়ক, শরীরের টক্সিন বের করে।
দই দিয়ে লাচ্ছি বা মাঠা
হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের পুষ্টি সরবরাহ করে।
ডাবের পানি ও শাঁস
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখে।
চিয়া সিড, অ্যালোভেরা বা লেবুর শরবত
ত্বক সুস্থ রাখে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে।
স্মুদি রেসিপি:
- আপেল, বাদাম, খেজুর
- কলার সাথে মধু, দুধ ও বাদাম
- আম, আনারস, ডাবের পানি
এইসব উপাদান শরীরের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং শক্তি বাড়ায়।
উপকারিতা:
- ফলের শরবত শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বক ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে।
- গ্যাস্ট্রিক ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পানীয় গ্রহণের নিয়ম:
- ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ২-৩ লিটার পানি ও পানীয় গ্রহণ করতে হবে।
- চা, কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার সীমিত রাখতে হবে, কারণ এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।
সতর্কতা:
- অ্যালার্জি থাকলে বিশেষ কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন।
- হার্ট, কিডনি বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানীয় গ্রহণ করুন।
এনএ/