১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম বলেছেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জীবনমান উন্নয়ন, তরুণদের কর্মমুখী দক্ষতা বৃদ্ধি ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নসহ একাধিক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আমার রয়েছে।
উন্নয়নের কথা বলে কেউ কেউ বক্তব্য দিচ্ছেন, কিন্তু তাদের কোনো পরিষ্কার কর্মপরিকল্পনা নেই। তালহা আলম বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে সুনামগঞ্জ-৩ আসন জমিয়তের প্রাপ্য।
শুক্রবার (১২ জুন) শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী বাজারে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি বলেন, করোনাসহ সকল দুর্যোগে জনগণের পাশে ছিলাম, অর্থনৈতিক সহায়তা করেছি এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছি। এখন সময় এসেছে জনগণ তার পরীক্ষিত সাথীকে মূল্যায়ন করবে।
তিনি আরও জানান, বিএনপির দুঃসময়ে ১২ দলীয় জোট এক কাতারে থেকে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। ‘ঢাকা-সিলেটসহ সর্বত্র আমরা মাঠে ছিলাম। ড. মাহ্দী আমিনের মাধ্যমে ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। তাই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুনামগঞ্জ-৩ আসন এখন জমিয়তের অধিকারের আসনে পরিণত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শহিদুর রহমান। যৌথভাবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাদিকুর রহমান ও ছাত্র জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ আনসার।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ জামালাবাদী। তিনি বলেন, তালহা আলম হচ্ছেন আমাদের পরীক্ষিত ও মেধাবী প্রার্থী। ২০২২ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও আমরা জানি কীভাবে ইভিএম কারচুপি হয়েছিল। এবার আমরা আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং প্রত্যাশা করছি, তালহা আলম জয়ী হবেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তের সুনামগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা হুসাইন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ রশীদ আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা আহ্বায়ক হাফিজ সৈয়দ ওজায়রুল হক, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম আব্দুল হাফিজ, জগন্নাথপুর উপজেলার সদস্য সচিব মাওলানা এরশাদ খান আল হাবিব, শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ হোসাইন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতিক আহমেদ, জেলা জমিয়তের যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শাহীনুর রহমান শাহীন, জেলা যুব জমিয়ত সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওয়েস আহমদ, জেলা ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মুফতি সুহাইল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ মারজান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা ছাত্র জমিয়ত সভাপতি কবির আহমেদ ও মাওলানা আব্দুল্লাহ নোমানসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, তালহা আলম যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমবিএ ও জুরিস ডক্টর ডিগ্রিধারী, আইবিএম-এ দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন। ২০২২ সালের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এলাকায় তিনি দ্বিতীয় হন এবং পরবর্তীতে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
এআইএল/