দখলদার ইসরাইল এবং স্বাধীনতাকামী হামাস জানিয়েছে, তারা দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে আলোচনা শুরু হবে।
রোববার (৯ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। হামাস তাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুর জন্য ইতিবাচক সংকেত প্রদান করেছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এদিকে, ইসরাইলও পরবর্তী আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে এবং সোমবার (১০ মার্চ) দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে, যাতে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যায়।
অন্যদিকে, হামাসের একটি প্রতিনিধি দল কায়রোতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা করছে। এ আলোচনা কাতারের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চলমান। হামাসের মুখপাত্র আবদুল-লতিফ আল-কানুয়া জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে অংশ নিতে প্রস্তুত, এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অবরোধ উত্তোলন নিয়ে তীব্র প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
গত জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় হামাসের হাতে আটক ৫৯ জন বন্দির মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসান নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, ওই বন্দিদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি এখন জীবিত নেই।
গাজায় ৪৮,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা এক বিশাল মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ দখলদার ইসরাইলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১,২০০ ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।
এনএ/