হাসান আল মাহমুদ >>
দারুল উলূম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ আরবি তৃতীয় বর্ষ থেকে দাওরায়ে হাদিস, তাকমিল ইফতা, তাকমিল আদব, তাকমিল তাফসির ও তাকমিল উলূমের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ৫০০ রুপি নগদ বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই বৃত্তি প্রতি চন্দ্রমাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত বিতরণ করা হবে।
আজ ৯ আগস্ট (১৪ সফর) প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২০১৪ সালে দেওবন্দের বাংলাদেশি সাবেক শিক্ষার্থী মুফতি আবুল বাশার কাসেমীর মাসিক বৃত্তির হার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ তাখাস্সুস ফিল হাদিস, তাখাস্সুস ফিল আদবিল আরবি, তাখাস্সুস ফিল ইফতা, তাহাফ্ফুজে খতমে নবুয়ত, তাহাফ্ফুজে সুন্নাত, শেখুল হিন্দ অ্যাকাডেমি, মুতালাআয়ে ইসাইয়্যাত, মুতালাআয়ে শামি, ইংরেজি সাহিত্য, কম্পিউটার, কিরাআতে হাফ্স, সাবআ ও আশারাহ, বদলে তাআম পজিশন, তর্জুমান ও মুহাদারাতসহ অন্যান্য কোর্সের বৃত্তিও নির্ধারিত সময়ে বিতরণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৃত্তি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে দারুল উলূম দেওবন্দের সাবেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মুফতি আবুল বাশার কাসেমী ৩৬ নিউজকে বলেন, ‘আমরা যখন ২০১৩-১৪ সালে দেওবন্দের শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন আমাদের মাসিক বৃত্তি ছিল ২০০ রুপি। সময়ের পরিক্রমায় এই বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আমি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন প্রবৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে বই-খাতা, কলম, যাতায়াত ও দৈনন্দিন ব্যক্তিগত প্রয়োজনের ব্যয় মেটানো সহজ হবে। এতে আর্থিক চাপ কিছুটা কমে গিয়ে তারা পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিতে পারবে।’
মুফতি কাসেমী উল্লেখ করেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী পরিবার থেকে দূরে থেকে পড়াশোনা করে। তাদের খাবার, কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণে এই অতিরিক্ত সহায়তা উপকারী হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও প্রেরণাও বাড়াবে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
হাআমা/