হাসান আল মাহমুদ >>
দেশের বিশিষ্ট আলেম ও জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়ার সম্মানিত শিক্ষক মুফতি সাঈদ আহমাদ বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসলামপন্থী দল ও সংগঠনগুলো সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অথচ সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশন ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ইসলামপন্থীদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, বরং সেখানে বামপন্থী ও সেক্যুলারদের একচেটিয়া আধিপত্য চলছে। এই বৈষম্য ও রাজনৈতিক কৌশলকে ইসলামপন্থীরা আর মেনে নিতে রাজি নয়।
“ইসলামী সংগঠনগুলো শুধু সমর্থন দিয়ে যাবে, আর সরকার সংসার সাজাবে বাম আর রামদের নিয়ে—এটা মেনে নেওয়া যায় না,” বলেন মুফতি সাঈদ আহমাদ।
তিনি আরও বলেন, সমর্থন হতে হবে শর্তসাপেক্ষে। দীর্ঘদিন যাবৎ ইসলামী দল ও গোষ্ঠীগুলো শুধুমাত্র সহানুভূতির বদলে সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের কোন বাস্তব মূল্যায়ন হয়নি। এই একতরফা সমর্থনের রাজনীতি আর চলতে পারে না।
“শুধু সহানুভূতি নয়, কার্যকর অংশগ্রহণ চাই। সমর্থন নিয়ে সরকার যদি ইসলামপন্থীদের শুধু বাহবা দেয়, আর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বামদের হাতে তুলে দেয়—তবে সেটি হবে প্রতারণা,” তিনি মন্তব্য করেন।
মুফতি সাঈদ আহমাদ আরও বলেন, ইসলাম শুধু সমর্থন দিতে নয়, সামনের কাতারে এগিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। রাষ্ট্রের সর্ব স্তরে ইসলামপন্থীদের বাস্তব মূল্যায়ন না হলে সেটা হবে ইসলামের ভাবমূর্তি ও আদর্শের প্রতি চরম অবমাননা।
তিনি বলেন, “হীনমন্যতা ও পিছিয়ে থাকাটা ইসলামি আদর্শের পরিপন্থী। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে ইসলামপন্থীদের সামনে আসতেই হবে।”
হাআমা/