২০২৪ সালের শেষে সৌদি আরব কৃর্তপক্ষ আশা ব্যক্ত করেছিলেন যে, চলতি (২০২৫) বছর দেড় কোটি মানুষ পবিত্র উমরা পালন করতে পারেন। অধিক সংখ্যক মানুষ যেন উমরা পালন করতে পারেন, সেই অনুযায়ী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবকাঠামোর সম্প্রসারণ এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যার মধ্যে থাকবে সেবা প্রদানের বিষয়টি পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন করা।
সৌদি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বছরের ছয় মাসেই পূরণ হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (ছয় মাসে) উমরা যাত্রীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে।
সৌদি জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোট উমরা যাত্রীর সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৪৯৭ জনে পৌঁছেছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, বিপুল সংখ্যক সৌদি নাগরিকও উমরা পালন করেছেন, যার অনুপাত ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে ৬০.৫% পুরুষ এবং ৩৯.৫ শতাংশ নারী।
প্রতিবেদন অনুসারে ৬০ লাখের বেশি উমরা যাত্রী বিদেশ থেকে এসেছেন, যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১০.৭% বেশি। এর মধ্যে ৮২.২% আকাশপথে সৌদিতে প্রবেশ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, দেশের ভেতর থেকে ৮৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৭ জন উমরা পালন করেছেন, যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ ছিলেন বিদেশি। আর মদিনায় আসা যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৪ লাখ ৫২ হাজার ৬৯৬ জন, যার মধ্যে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৬৮৯ জন বিদেশ থেকে এসেছেন।
উল্লেখ্য, উমরা পালনকে সহজ করতে মক্কা ও মদিনার ১৫টি ইসলামিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সৌদি সংবাদমাধ্যম ওকাজ জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০টি স্থাপনা ঢেলে সাজানো এবং উমরাকারীর বার্ষিক সংখ্যা তিন কোটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা হিসেবে ‘গেস্ট অব আল্লাহ’ নামের একটি প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে।
গত বছর ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ মক্কার উমরা পালন করেছেন। ২০১৯ সালে চালু হওয়া ‘গেস্ট অব আল্লাহ’ সেবা প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সবচেয়ে বেশি ২০ লাখ মানুষ উমরা পালন করেছেন পাকিস্তান থেকে। এরপর যথাক্রমে মিসর থেকে ১৭ লাখ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ১৪ লাখ মানুষ উমরা করেছেন।
চলতি বছরের জুন মাসে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। হজ শেষ হওয়ার পর উমরার নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। হজের সময় বাদে বছরের যেকোনো সময় উমরা পালন করা যায়।
এনআর/