ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপার স্টার কমল হাসানের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মকে ‘অপমান’ করার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি ধর্মকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন। এ কারণে তার সব সিনেমা বয়কটের দাবি তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমল। সেখানে সনাতন ধর্মের গোঁড়ামির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন তিনি। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে সদ্য রাজ্যসভার সাংসদ পদপ্রাপ্ত কমল হাসানকে বলতে শোনা গেছে, একমাত্র শিক্ষার জোরেই পরিবর্তন সম্ভব। এই যুদ্ধে শুধু শিক্ষাই পারে দেশকে বদলাতে। এটাই একমাত্র অস্ত্র দেশের স্বৈরাচার শাসন এবং সনাতন ধর্মের শেকল ভাঙার জন্য। অন্য কোনো অস্ত্র আপনাদের হাতে তুলে নেবেন না। তাহলে এহেন সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে পরাস্ত হতে হবে। এই যুদ্ধ জয় করতে শিক্ষাই একমাত্র অস্ত্র।
কমল হাসানের এই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি তামিলনাড়ুর বিজেপি সচিব অমরপ্রসাদ রেড্ডি। চেন্নাইয়ের অনুষ্ঠানে কমলের ওই মন্তব্যের জেরে অভিনেতা রাজনীতিকের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি উঠেছে।
অমরপ্রসাদ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে তিনি বলেছেন, আমি সকল হিন্দুর কাছে আবেদন করছি, কমল হাসান সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করতে চান। ওর ছবি বয়কট করুন। এটা যেন একটা বার্তা হিসাবে যায়। সনাতন ধর্মকে অপমান করলেই তার ফল ভুগতে হবে। এরপরে যেন আর কোনো অভিনেতা হিন্দু ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করার সাহস না দেখান।
সব সনাতনীর কাছে আমার অনুরোধ, এমন লোকজনকে উচিত শিক্ষা দেয়া দরকার। আমাদের উচিত কমল হাসানের সমস্ত সিনেমা প্রেক্ষাগৃহ, ওটিটি থেকেও নিষিদ্ধ করে দেয়া। তাহলে আর এমন মন্তব্য করবেন না, যা কোটি কোটি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেয়।
এদিকে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই কমল হাসানের বিরুদ্ধে সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এআইএল/