আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমানসহ অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে আজ (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পিরোজপুর টাউন ক্লাবের সামনে আমার দেশ পাঠক মেলার আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পিরোজপুর-১ আসনে মনোনীত প্রার্থী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র ও জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জহিরুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লাভলু গাজী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, পিরোজপুর পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা ইসহাক আলী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমার, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম রেজাউল ইসলাম শামিমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে মাসুদ সাঈদী বলেন, মেঘনা গ্রুপ ফ্যাসিবাদের দোসর। খুনি হাসিনার হাতকে এরাই শক্তিশালী করেছে, স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থাকে এরাই প্রলম্বিত করেছে। এরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এরা বাংলাদেশে অবস্থানরত একটি প্রতিষ্ঠান হলেও এরা ভারতের পরামর্শে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হয় তবে দেশপ্রেমিক জনতা মেঘনা গ্রুপের সব পণ্য বয়কট করবে।
তিনি আরও বলেন, মূলত ভারতের টাকা ও ইন্ধনে ঢাকার শাহবাগে তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। দিনের পর দিন মানুষকে কষ্ট দিয়ে, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করছিল। তখন কলম সৈনিক মাহমুদুর রহমান আমার দেশে লিখেছিলেন ‘ফ্যাসাদের গর্জন শোনা যায়।’ এই লেখার পরই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ মাহমুদুর রহমানের ওপর মামলা হামলা করেছিল। দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদী যেভাবে বাঘের মতো গর্জন করতেন, লড়াই করতেন- একইভাবে মাহমুদুর রহমানও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, মাহমুদুর রহমান একজন সাহসী কলম সৈনিক। তিনি এ দেশের সম্পদ। সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন মাহমুদুর রহমান।
মানববন্ধনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং মাহমুদুর রহমানের মতো নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এনএ/
