ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনিয়ম বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ব্যালট বাক্স কেড়ে নিতে না পারে- ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্যে এক হতে পারি না?’
ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তার কমিশন। আজ সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘অনিয়ম চাই না আমরা। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। (ভোটার) হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।’
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া, ছবি তোলাসহ অন্যান্য কাজ চলবে। জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ঠিকানা স্থানান্তরের সুযোগ থাকছে এবারের হালনাগাদে।
ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন।
সিইসি বলেন, ‘যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, ফ্রিলি-ফেয়ারলি ও ভয়ভীতিহীনভাবে; সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা নেমেছি। সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এ কাজ করতে হবে।’
ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে; অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বাঙালি ফাইট করতে জানে। বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে- আমাদের নেতৃত্বে; আমরা আপনাদের সাথে আছি।’
এমএনএকে/