চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা রিয়াদ-অপু সমান ভাগ করে নেন

by amirulislamluqman20@gmail.com

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা একটি মামলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে স্বেচ্ছায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন
banner

জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন, চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা তিনি ও তার সহকর্মী অপু সমানভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। গরিবের ছেলে, তাই টাকার লোভ সামলাতে পারিনি বলে স্বীকার করেন রিয়াদ।

গুলশানে আ.লীগের সাবেক ওই এমপির বাসায় কে, কোন উদ্দেশ্যে কিভাবে এ কাজ করেছেন তার বর্ণনা দেন তিনি।

গতকাল রোববার (৩ আগস্ট) রিমান্ড শেষে রিয়াদসহ ৪ আসামিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রিয়াদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। তারপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।

জবানবন্দিতে রিয়াদ আরো বলেন, বিভিন্ন সময় ফ্যাসিবাদী লোকজনকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন তিনি। ঘটনার দিন গত ১৭ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি জাকির হোসেন মঞ্জুর ফোনের মাধ্যমে গুলশান জোনের ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তখন রিয়াদ ডিসিকে জানান, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদ গুলশানের নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। পরে ডিসি নিজে জানান যে, বিষয়টি তিনি গুলশান থানার ওসিকে অবগত করেছেন। এরপর রাত ২টার দিকে রিয়াদ, মঞ্জু, জানে আলম অপু, সাবাব হোসেন, আতিক শাহরিয়ার, সাদাকাউম সিয়াম, তানিম ওয়াহিদ ও আতিকসহ আরো কয়েকজন নিয়ে থানায় যান। তখন ওসি জানান, এতো রাতে গুলশান সোসাইটিতে অভিযান চালানো যাবে না। ফজরের আজান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এরপর গুলশান থানার একটি টিম তাদের সঙ্গে দেওয়া হয়। তারা রিয়াদের নেতৃত্বে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাড়িতে যান। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তবে শাম্মীকে বাসায় না পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় তারা ফিরে আসেন। পরে জানে আলম অপু রিয়াদকে বলেন, ওই বাসা থেকে তিনি শাম্মী আহম্মেদের এয়ারপড নিয়ে এসেছেন। পরে রিয়াদ ও অপু ওইদিন (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এয়ারপড ফেরত দিতে ওই বাসায় যান। তারা এয়ারপড ফেরত দেওয়ার পর অপু পানি খাওয়ার কথা বলে ওই বাসার ভেতরে ঢোকেন। তখন অপু বাসায় থাকা শাম্মীর স্বামীকে বলেন, শাম্মী বাসায় আছেন। তারা তাকে পুলিশে দেবেন। তখন শাম্মীর স্বামী ভয় পেয়ে টাকা দিতে চান। তখন অপু ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু এত টাকা বাসায় নেই বলে জানান শাম্মীর স্বামী। পরবর্তী সময়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে চলে আসেন এবং সমান ভাগে ভাগ করে নেন তারা।

তিনি আরো বলেন, বাকি ৪০ লাখ টাকা নিতে ফের ২৫ জুলাই শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান রিয়াদসহ গ্রেপ্তার বাকিরা। ওইসময় পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে অপু পালিয়ে যায়।

এ ছাড়া এই মামলার অপর তিন আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত। তারা হলেন— মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা ছিলেন।

এআইএল/

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রকাশক: আবু সায়েম খালেদ
পরিচালক: এইচ. এম. মুহিউদ্দিন খান
আসকান টাওয়ার, ৬ষ্ঠ তলা, ১৭৪ ধোলাইপাড়
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
ইমেইল: info@36news24.com
ফোন: 01401 400222